°________পূর্ণিমা রাত________°
মোঃশরীফুল ইসলাম শান্ত
দিনের ক্রান্তিলগ্নে দেখা পেলাম একজনার;
তার জন্য অপেক্ষায় থাকি পুরো মাস,
আমি তার দেখা পাবো বলে বসে আছি,
সে তো আর কেউ নয় আমার পূর্ণিমার চাঁদ।
আমি কোন জ্যোতির্বিদ নই,
যে চাঁদকে জানে একটি মৃত উপগ্রহ বলে।
আমি কোন নভোচারী নই,
যে চাঁদকে দেখে নিকট ভবিষ্যতের আবাস হিসেবে।
আমি আনমনে প্রেমিক মানুষ,
চাঁদকে দেখি আনমনা চোখে।
আমি রোমাঞ্চ খোঁজি জোছনায়, পূর্ণিমায়;
নক্ষত্রখচিত কালো আকাশে।
আমায় তারা বলে তুমি,একবিংশ শতাব্দীর মানুষ,
কিন্তু এখনো আমি কৃত্রিম আলোরছটায় ডুবে যাই নি।
আর সবার মতো রংবেরঙের আলো আমাকে ভোলাতে পারে নি,
তাকিয়ে রই পূর্ণিমা রাতের আকাশপানে,
প্রতি পূর্ণিমায় তাই সব আলো নিভিয়ে দিই।
ভালোবাসি চাঁদ, ভালোবাসি জোছনা।
ভালোবাসি স্নিগ্ধ কোমল আলোটিকে।
আমি পূর্ণিমা দেখবো বলে বসে আছি।
ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমীর রাতগুলো কেটে যাচ্ছে, ধীরে হলেও।
আমি জানি, অপেক্ষার রাতটি আর কয়েক রাত তফাতে।
আজ মহামারির মাঝে একটি পূর্ণিমার রাত।
যেমনটি বলেছিলাম, তার চেয়েও সুন্দর আজকের জোছনা।
হয়তো বিগত সব জোছনাকে ছাপিয়ে গেছে তার সৌন্দর্য, তার তীব্রতা।
কিংবা কে জানে,
দিনের পর দিন অপেক্ষার পর এসেছে বলেই হয়তো।
কঠিন সময়ের মাঝে যাচ্ছে বিশ্ব,
অনেক কিছু মনে পড়বে এই রাত্রিতে –
অতীতকে, মৃত্যুকে, ছোট ছোট বেদনাগুলোকে।
অসহ্য আনন্দ নিয়ে তাকিয়ে আছি আকাশের দিকে,
স্নিগ্ধতার মাঝে মুগ্ধ দৃষ্টিতে।
প্রথম মানব আদম বোধহয় এতটাই মমতা নিয়ে তাকিয়েছিলেন;
ঠিক এই চাঁদটির দিকেই।
প্রতি রাতে এই সময়ে;
পূর্ণিমা দেখবো বলে বসে আছি
আজকের রাতটি এখানেই বসে থাকবো,
যতক্ষণ না চাঁদ ডুবে যাবে তারা ছায়াপথে।
এটি হয়ত আমার জীবনের শেষ জোছনা,
দু’চোখ ভরে দেখে নিই না।
আমার এই ছোট্ট জীবনে;
প্রতিটা জোসনা আসে নতুন করে,
নতুন স্বপ্ন বুনি চাঁদের পানে চেয়ে,
চাঁদ যেও না তুমি ডুবে,
মুয়াজ্জিন দিবে আযান স্নিগ্ধ এই পূর্ণিমা রাতে...
বিদ্রঃ আমি আমার খালি চোখে যে পূর্ণিমা রাত্রিতে যে চাঁদটি দেখি তা আলোকচিত্রে কোটি ভাগের এক ভাগের সমতুল্য নয়।।