Disclaimer :
বিশেষ দ্রষ্ট এই গল্পের সমস্ত চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই, কেউ যদি মিল খুঁজে পান তাহলে তা অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয় ঘটনা মাত্র!
পর্ব ১ - "সুলেমান হুররামের সংসার" লেখক-মোঃশরীফুল ইসলাম শান্ত
পর্ব ১২ " সুলেমান হুররামের সংসার "
লেখকঃ মোঃশরীফুল ইসলাম শান্ত
অতঃপর সারা রাত কাঁদার পর হুররাম তার সুলেমানকে গ্রামে আসতে বলে। হুররাম বলে তার বাড়িতে আসতে এখানে তার বাবা কেউ না।
সুলেমান শুধুমাত্র রাগের মাথায় বলেছিল হুররামকে গহনা নিয়ে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে করার প্লান চলছে কি না।সেইগুলো নিয়ে এতো বড় ঘটনা হুররামের বাবা কেন ঘটালেন জামাইয়ের সাথে তা পরে জানা যায়।
হুররামের অনেক অনুরোধে সুলেমান অজপাড়া গ্রামে যায় এবং বেশ কিছুদিন ভালোই যাচ্ছিল তবে হুররামের মামা একদিন হুররামদের গ্রামেে বাড়ি আসে সেদিন হুররামের দাদা সারা গ্রাম ঘুরিয়ে বাসায় আনার পর হুররাম সেখানে থাকে এবং সুলেমানকে তাদের বাড়িতে যেত নিষেধ করে কারন তার মামা এসেছে কুপরামর্শবৃত্রি চলছিল।
তারপর আরেকদিন সুলেমানকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে হয় এবং হুররামের মা সুলেমানকে অনেক কথায় শোনায় যে তার বোন এবং বোনের জামাইকে সালাম দিয়ে কথা বলতে যেখানে সুলেমানের বাসগৃহের পাশে হুররামের খালা খালু মামা প্রত্যেকবারের মতন কিছুদিন আগেও সুলেমানকে অপমানিত করতে যেয়ে নিজেরাই ছোট হয় সত্যের নিকট।
সুলেমানের তখনও তার শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই হয়নি তাকে নিয়ে বের হয়ে দীঘির পারে বসে থাকে হুররাম কিছুক্ষণ পর মুঠোফোনে কল আসলে হুররামকে একা রেখে তার আত্বীয়দের সাথে মিলনমেলায় সুলেমানকে একা রেখে চলে যায়।
এভাবে যখন সুলেমানের বাসগৃহ শহরে আসার সময় এলো তখন হৃররাম সুলেমানের সাথে না যাওয়ার অনেক বাহানা শুরু করলো, সেই সময় পর্যন্ত হুররামের দাদা ছাড়া সুলেমানের সেখানে আপন বলতে কেউ ছিল না যে কিনা সুলেমানের কষ্ট এবং আসল সত্য ঘটনা সব জানতো।
তিনি সুলেমানকে সান্ত্বনা দেন এবং হুররাম তার সাথে যাবে নিশ্চয়তা দেন।
অনেককিছুর পর সুলেমানের অজরে কান্না ও সেখানেও তার স্ত্রীর নিকট থেকে মার খাওয়ার পর সেই যাত্রায় ষোড় হাজারের মতন খরচ হয় তারপর সে আর হুররাম শহরে আসে।
শহরে আসার পর সবকিছু ঠিক চলছিলো খুব নিরব ভাবে সুলেমান তার জীবনযাপন করতে শুরু করে, হুররামের যাবতীয় প্রয়োজনীয় সকল কিছু কিনে দিতো আগে থেকেই এখন আরো বেশি দেওয়া শুরু করে।কারন হুররাম সবাইকে সুলেমান তাকে কিছু দেইনা কৃপণ মানুষ বলে সম্বোধন করতো।
একদিন সুলেমানের মা ব্যাগ থেকে কিছু টাকা পাচ্ছিল না তখন সুলেমানের মা হুররামকে দেওয়া গহনা সুলেমান তার কাছে রেখেছিলেন তাও সে পাচ্ছিল না তখন বাসার সবাইকে জিজ্ঞাসা করে কেউ নিয়েছে কি না তখন সবাই বলে কেউ নেয়নি তারপর সুলেমানকে জিজ্ঞাসা করে এবং সুলেমানও বলে সে নেয়নি।
তারপর সুলেমানের ভাবির রুমে যেয়ে যখন জিজ্ঞাসা করছিলো তখন সুলেমানের ভাবি বলে হুররাম তার শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া গহনা সে নিয়ে নিবে বলে একাধিক বার তাকে বলেছিল তখন কাউরো বুঝতে অপেক্ষা থাকে না কোনো চোর নয় বরং হুররাম গহনা সরিয়ে সে গতবার গ্রামে যাওয়ার সময় তার সাথে নিয়ে গিয়েছিল তাই সে আসতে চাচ্ছিল না।
আর ওইসব ভিডিও বানিয়ে তার এক্স বয়ফ্রেন্ডকে সম্মোহিত করতেছিল যেন তাকে বিয়ে করে কিন্তু তাতে কোন কাজেই হচ্ছিল না কারন হুররাম ও তার পরিবার কেমন তা সম্পর্ক তাদের এলাকার মোটামুটি সবাই অবগত।
হুররাম সবখান থেকে সব কিছু তার বাবা মায়ের বাড়িতে সরিয়ে রাখতে পচ্ছন্দ করতো।হুররাম তার স্বামীকে অহেতুক কোনো কারন ছাড়ায় নিজ থেকে কারন বের করে সবসময় ঝগড়া করতে চাইতো।
হুররামকে সবসময় খুশি রাখার জন্য সুলেমান অনেক কেনাকাটা করে দিতো তারপরও হুররামের আসল সুখ সুলেমানের নিকট কেন জানি পেত না।
হুররাম যখন অতিরিক্ত করতো গালি গালাজ এবং সুলেমানকে মারধর তখন সুলেমান ছোট্ট কোন গালি যেমনটা ছিল ওয়েটারের মেয়ে এসব গালির ভেতর পরে না শুধু পেশাভিত্তিক পরিচয় তাতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে একদিন গালিটিপে ধরে তখন সুলেমান বমি করে দেয়।
আরেকদিন তাহাজ্জুদ নামাজের সময় রুমে আলো জ্বালায় তখন সুলেমানের পেঠে সজোরে লাথি মারে এতে তার পেঠের ব্যথা সপ্তাহ খানেক থাকে তারপর ডাক্তারের নিকট ঔষুধ খেয়ে রোগ নিরাময় হয়।
যেখানে হুররামের নিজ থেকে সৃষ্টপ্রদত্ত রোগ হলে ডাক্তার পরিক্ষা ঔষুধ ভ্যাকসিন দিয়ে দিতো সেখানে তার আগাতে সে অসুস্থ হয়ে পড়তো।
কিছুদিন পর শরৎকালে তার কাশফুল দেখে যায় তারপর সে রাতে হুররাম অনেক খারাপ আচারণ ও রাস্তায় হাত সজোরে চিমটি দিয়ে অনেক ব্যথা দিচ্ছিলো তখন সবজিওয়ালার মেয়ে বলে রাগে সুলেমান।
সেই দোষে বাসায় আসার পর সুলেমানের মুখে অনেক জোরে একটা ঘুষি দিয়ে বেহুশ করে ফেলে। সুলেমান নিচে পরে যাওয়ার পরও সে অত্যাচার থামায়নি তার পেঠে সজোরে লাথি মারে তারপর তার মাথা খাটের সাথে অনেকবার আঘাত করায় তারপর মেঝেতেও অনেকবার আঘাত করায়, নাকের ভেতর পানি ঢেলে দেয় তখনও বেহুশ একটা মানুষকে উলঙ্গ করে পালাক্রমে দুই থেকে তিন ঘন্টা পাশবিক নির্যাতন চালায়।
তখন চোখের পানি ফেলা ছাড়া সুলেমানের আর কিছু করার ছিল না কারন সে জানতো এই দেশে নারী নির্যাতন আইন আছে তবে পুরুষ নির্যাতন আইন নেই তাই নিপীড়িত নির্যাতিত হচ্ছে দিনের পর দিন এই দেশের পুরুষ তাদের কথা বলার মতন সোশালিস্টিক মানুষ সমাজে খুবই সংকীর্ণ নেই বললেই চলে পুরুষের মার খাওয়াকে এই দেশে কাপুরুষতা হিসাবেও দেখা হয়।
তারপরও সেদিন সুলেমান চুপ থেকে প্রমান দেয় সে কতটা কষ্ট সেই শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সহ্য করে আসছে।
পর্ব - ১৫ "সুলেমান হুররামের সংসার''
লেখকঃ মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শান্ত
এভাবে কিছুদিন যায় তারপর চলে আসে মুসলিম ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব কুরবানির ঈদ।
তখন সুলেমানকে হুররাম বিভিন্ন আশা দেখায় যে সে ফিরে আসবে এবং ছেলের সাথে আর কথা বলবে না কিন্তু সে শহরে আসে না।
হুররাম সুলেমানকে বাধ্য করে তার বাবাকে মুঠোফোনে যেন যোগাযোগ করে এবং ক্ষমা চায় এবং গ্রামে ঈদ করতে যাবে তা বলতে।
সুলেমান যথারীতি মুঠোফোনে জানায় বুঝিয়ে বলে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে।
হুররামেে বাবা সবকিছু মেনে নেয় এবং আসতে বলে ঈদ সেখানে করতে বলে।
কিছুক্ষণ পর হুররামের বাবা ঘরে ফিরে আসে তখন অনুমতি দিয়েছে কেন তাই হুররামের মা বাবা কে বকাবকি করে মুঠোফোনে কল দিতে বাধ্য করে।
তারপর সুলেমান শুনতে পায় পাশে থেকে গালিগালাজ করছে হুররামের মমতাময়ী মা।
হুররামের বাবা অজপাড়া গ্রামে আসতে মানা করে এবং সুলেমান অনেক কষ্ট পায়।
হুররামের কাছে সবকিছু খুলে বলে তারপরও সুলেমানকে হুররাম আসতে বলে। তার খায়েশ পূর্ণ হয় কেননা সুলেমান ভুল না থাকার সত্বেও ক্ষমা চাওয়ানোর মাধ্যমে প্রশান্তি পেয়েছে।
তারপর অজপাড়া গ্রামে যাওয়ার সময় আসে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল হুররাম তাকে নিতে আসে।
বাসায় সবাই ঘুমে ছিল হুররাম একা এসেছে আগে দাদাও আসতো এবার আসেনি।
সুলেমানের হাতে অনেক কিছু ছিল, শ্বশুরবাড়িতে কখনই খালি হাতে যায়নি,দুই হাতে খরচ করতো কিন্তু মানুষকে কেউ জানাতো না শুধু খারাপটাই সবার সাথে আলোচনা করতো।
অতঃপর সবাই ঘুমে ছিল হুররাম পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে সামনে এসে দরজা খোলে সুলেমানকে ঘরে প্রবেশ করায়।
সেদিন হুররামের মুঠোফোন হাতে নিয়ে তার সবকিছু পেয়ে যায়।
সুলেমান দেখে তার আরেক প্রাক্তন নয়নের সাথে কথা বলেছিল।
এছাড়াও আরো ছেলেদের সাথে কথা বলেছিল সব পেয়েও কিছু বলে না শুধু জিজ্ঞাসা করে এবং পরবর্তীতে ধরা খেয়ে যাওয়াতে সব স্বীকার করে নেয়। অতঃপর সুলেমানের হাতে সিম টি দেয় তারপর সে স্ত্রীর চরিত্রহীনতার অংশবিশেষ লোপাট করার উদ্দেশ্যে সিম ভেঙে ফেলে দেয়।
এভাবে চলতে থাকে কিছুদিন হুররামের কুরবানি ঈদ ভালো মতন যায়, যেখানে সুলেমান উক্ত বছরে দুই ঈদ তার শ্বশুরবাড়িতে হুররামর মুখে হাসি ফোটাতে করে।
তারপর সুলেমানকে একদম সুযোগ বুঝে আবারও অকথ্য ভাষা গালিগালাজ আজেবাজে কথা শুনায় হুররামের মা।
তাদের ভাষ্যমতে আমাদের মেয়ে খারাপ, মেয়েকে ডির্ভোস দিয়ে যেন দেই।
তারা হারাম সম্পর্কের সবকিছু জানে তবুও মেয়ে অবাধে রাস্তায় যেতে দেয় কোনো মানা করে না।
এতোকিছুর পর ধৈর্য ধরে সুলেমান কিছু না বলে মসজিদে চলে যায়।
মসজিদে থাকা অবস্থা হুররাম তার কাছে যেয়ে সান্তনা দেয়।
তারপর না খেয়ে ছিল খেতে বলে এবং ঘরে নিয়ে আসে।
হুররামকে এক রাতে নছিয়ত করার সময় এবং বাচ্চা নিবে বলায় সুলেমানের মুঠোফোন দিয়ে তার গায়ে মার দেয় এবং মোবাইলে অংশবিশেষ ভেঙেই যায়।
তখন সুলেমান রাগের মাথায় বলে উপরের সব কিছু বিক্রয় করিলে মুঠোফোনের মূল্য হবে না।
সেই সময়কালে একেবারে ডির্ভোস হয়ে যায় হুররামের আপন মামা মামীর।
হুররাম পরবর্তীতে সুলেমানকে শহরে যেতে বলে,
হসে পরে আসবে কিন্তু সুলেমান তাতে রাজি হয় না।
হুররাম কিছু শর্ত দেয় সে যা করলে ঢাকায় আসবে, ১)শহর থেকে গ্রামে যা নিয়েছে তা কিছু নিবে না,
২)ঢাকায় যে কোনো কাজ করবে না বসে বসে খাওয়াতে হবে,
৩)স্বর্নের গহনা গিফট দিতে হবে জন্মদিনে,
৪)সুলেমানের বাবার নিজস্ব বাড়িতে ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে উঠার শর্তে,
সুলেমান হাসি মুখে সব মানে কেননা তার অর্ধাঙ্গিনী তার পাশে থাকবে তাতেই তার শান্তি এবং পাপের গ্রাম থেকে অনেক দূর থাকবে।
হুররামকে নিয়ে শহরে যায় সুলেমান সেইবারও সুলেমান অনেক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আসার পর তাদের দিন ভালোই যাচ্ছিল কারন আবারও অনেক কেনাকাটা করে দিয়েছিল স্বর্ণের গহনা থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু তারপর তারা অনেক ভালো সময় পার করে।
ধুমধাম করে হুররামের পৃথিবীতে আসার দিনটাও পালন করে।
হুররাম কিছুদিন পর অসুস্থ অনুভব করে, তার ডাক্তার দেখায় এবং রক্ত পরিক্ষায় কোনো রোগ পাইনি।
কিছুদিন পর তাদের সুখবর আছে যে সুলেমান হুররামের সংসারে ফুটফুটে সন্তান আসতে চলেছে।
এতে তারা দুইজনেই অনেক খুশি হয়।
সুলেমান এবার গ্রাম থেকে আশার পর কোনো কাজেই হাত দিতে দেইনি কারন তার এই কথা দিয়ে আনতে হয়েছিল।
সুলেমান বরাবরের মতন তার কথা রাখলেও আবারও ছলনার আশ্রয় নেয় হুররাম সে না বলে গ্রামের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য রওনা হয় তখও সে জানতো না আসলে গ্রামে যাওয়ার জন্য টাকা পাঠায় কে?
তারপর রাস্তায় যেয়ে হুররামকে ধরে যে সে যা এবার কিনে দিয়েছে তা নিয়ে চলে যাচ্ছে।
তারপর আটকায় এবং পনের দিন থাকবে সেই শর্তে অনুমতি দেয় সুলেমান হুররামকে গ্রামে যেয়ে থাকার জন্য।
কিন্তু গ্রামে যেয়ে পনের দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও আর আসে না,
সেখানে বসে অকথ্য ভাষা সুলেমানকে গালিগালাজ করতো যখন সুলেমান হুররামকে বেপর্দা থাকতে বারং করতো ইসলামি অনুশাসনের কথা বলতো।
সুলেমান সবসময় চাইতো সে শহরের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা করুক কিন্তু ভর্তির মৌসুমে হুররাম গ্রামে যেয়ে থাকতো তাই ভর্তি করানো সম্ভব হয়নি।
কিন্তু হুররাম সেই কলেজে ভর্তি হয় যেখান থেকে সে অতীতে সব অপকর্মে লিপ্ত ছিল।
সেই কলেজের পাশেই তার প্রাক্তন নিশাতের বাসা এবং বিগত সময়ে প্রায়শ সেই বাসায় যাওয়া আসা করতো তা মোটামুটি হুররামের গ্রামবাসী ও নিকট আত্বীয় জানতো,
সুলেমানের গোপনে বিশ্বাসঘাতকতা ও ছলনার আশ্রয় নিয়ে সেই কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করে যাতে খুব কাছে থাকতে পারে সেই ছেলেটির যার আড্ডার কেন্দ্রস্থল ছিল উক্ত কলেজ।
সুলেমান তার নেটওয়ার্ক মাধ্যমে জানার পর ভেঙে পড়ে এবং রবের নিকট দুই হাত তুলে বলে কখনই কি হেদায়েত পাবে না আমার সহধর্মিণী।
সে আরো বলে বিয়ের আগে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিল এবং বিয়ের পর যখন সুলেমান চাচ্ছিল ইসলামের পথে চলুক তখনই সেই ছেলের তার পাশাপাশি থাকার বন্দবস্ত করলো,হে রব আপনি এদের হেদায়েত দান করুন।
অতঃপর একদিন দূর সম্পর্কের সেই নানার বাড়ির একটা সমস্যা শুনে সুলেমানের কষ্ট লাগে এবং সে চেষ্টা করে সমস্যা ঠিক করে দেওয়ার যাতে রূপা ও রুপমের সংসার ভেঙে না যায় কিন্তু হুররামের দূর সম্পর্কের নানার মেয়ে রূপা খালাকে উসকিয়ে দিতো যেন ডির্ভোস দিয়ে দেয়।
এরই পাশাপাশি হুররামের মা, আপন ছোট খালা - যে জানতো হুররামের সাথে নিশাতে বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কেও মিলিত হয়েছিল এবং বিয়ের পরেও একই সাথে বহুবার কথা বলেছে তার তত্বাবধানে,তার সে ছোট খালা আরো অনেককেই বলে বেড়াতো হুররামের বিয়ের আগের অতীত চরিত্র নিয়ে যা কিনা ছিল হুররামের সামনে ভালো সেজে খারাপ কাজের সহযোগিতা করে আবার অন্যদের বলে বেড়াতো। তারাই বলতো তুমি সংসার ভেঙে ফেলো তোমার জন্য আরো ভালো ছেলে আছে কোনো সমস্যা নেই।
কিন্তু রূপা ও তার পরিবার এইসবে কান দিতো না,
বরং আশায় থাকতো সুলেমান রূপমের সাথে কথা বলে সব ঠিক করে দিবে।
রূপার পরিবার ছিল অনেক বেশি ভালো, আগের রমজানের ঈদের পর গান বাজনার সেই বিয়ে বাড়িতে সুলেমানের স্ত্রী হুররামকে নাচানোর জন্য কষ্ট পেয়েছিল তা যে শুধু সে ছোট খালা খাদিজার জন্য হয়েছে তা নিশ্চিত হয়ে যায়।
রূপার পরিবার আসলেই অনেক ভালো ছিল তারা কখনই সত্য কে মিথ্যা ও মিথ্যা কে সত্য বলতো না।
ভালোকে ভালো এবং খারাপকে খারাপই বলতো।
শুধু রূপমের মতন দুশ্চরিত্রে জামাই রূপার কপালে পড়ে তাদের আজ অনেক কষ্টের দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছিল।
যখন হুররাম জানতে পারে সুলেমান রূপা রূপমের সংসার ঠিক করে ফেলছে তখন সে আবারও সুলেমানের নামে চিকন মাথার বুদ্ধি ব্যবহার শুরু করে যেন সবাই সুলেমানকে অপচ্ছন্দ করে।
কিন্তু রূপার পরিবার সুলেমানকে ভুল বুঝে না কারন তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া একটা পরিবার ছিল যারা দ্বীনের পথে চলার চেষ্টা করতো।
হুররাম সবাইকে মুঠোফোনে সমস্যা লাগানো শুরু করে এবং রূপমকেও মুঠোফোনে সুলেমানের সাথে কথা বলতে মানা করে দেয় ।
সুলেমানকে হুকমি দেয় বাচ্চা নষ্ট করে ফেলবে সংসার ঠিক করাতে সহযোগিতা করলে...
পর্ব ১৬ আসিতেছে
ReplyForwar |


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন