বিষয়ঃঅন্ধকারাচ্ছন্ন সিহা মুসলিম জাতি ও আশুরা।
আজ পবিত্র আশুরা পালিত হয়েছে।
আজ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো আজকের এই দিনটাকে নিয়ে যা সিহা সুন্নি উভয়ের জন্য গ্রহনযোগ্য ও ভুল ভাঙ্গাবে সিহা জাতিরঃ
আশুরার দিনটি মহরম মাসের ১০ তারিখ পালন করা হয়।এই দিনের তাৎপর্য অনেক নানা ঘটনা ঘটেছিল ও ঘটবে এই দিনটাতে।
আশুরার দিনে মহান আল্লাহ তা'য়ালা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন,প্রথম মানব আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেছেন,নবীজির দৌহিত্র বা নাতি হযরত হুসাইন কারবালার ময়দানে শহীদি শাহাদাত বরণ করেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
আগে বলে রাখি আমি মুসলিমদের ভেতর কোনো জাত এ বিশ্বাসী নই।
সিহা রা ১০ই মহরম তারা হুসাইনের মৃত্যুর স্বরণ করার জন্য শোকের মাতনে বাঙালীসহ পৃথিবীর আনাচে কানাচে থাকা সিহা মুসলিমগণ তাজিয়া মিছিল ও নিজের শরিরে নিজে আঘাত করে থাকেন।
বাঙালীদের অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের আমার লেখা-
সিহা মুসলমানরা আশুরার দিনে হুসাইনি দালানে সমবেত হয় এবং নিজেরা নিজেদের আঘাত করে থাকে।
এটার কোনো মানে হয় না,হুসাইন বা পরে অন্য কেউ বলেন নাই যে নিজেকে নিজে আঘাত করতে হবে এই শোকের দিনে,
তারা ইমাম হুসাইনকে প্রাধান্য দিবে তার চেয়ে বড় ইমাম হল আলী (রঃ) তার মৃত্যু স্বরণ করেন না তারা প্রকৃতপক্ষে তাও উচিন নয়।
আল্লাহর নির্দেশে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর মাধ্যমে কোরআন নাযিল করেন এবং তিনি হাদিস বর্ণনা করে ও মৌন সম্মতি দেন।
আমরা নবীজির জীবনাদর্শন না অনুসরণ করে পরে নিজেদের বানানো ইসলাম অনুসরণ করবো তা ঠিক নয়,
সিহারা ৩ খলিফা রাশেদিনকে মানেন না শুধুমাত্র আলীকে মানে,
সব মিলিয়ে সিহাদের ইসলাম ধর্ম পালন করে ভুল পন্থা অনুযায়ী।
বিশেষ করে তাজিরা মিছিলে নিজের শরীর থেকে অযথা রক্তপাত ঘটানো কখনই ইসলাম স্বীকৃতি দেয় না।
এই দিনে রোজা নামাজ কোরআন তেলওয়াত করা ভালো ইবাদত।হুসাইন তিনি মিথ্যার কাছে মাথা নত হয় নি,
তিনি তার জীবন উৎসর্গ করে তা প্রমান করেছেন,
আমাদের উচিত তার জীবনাদর্শন থেকে শিক্ষা নেওয়া যে কখনই মিথ্যার কাছে মাথা নত হওয়া যাবে না নিজের জীবন চলে গেলেও কিন্তু এর মানে এটা দাড়ায় না যে মানত এর জন্য নিজের শরির থেকে নিজে আঘাত করে রক্তপাত ঘটানো নয়।
আশা করি আমার বক্তব্য আপনাদের কাছে সুস্পষ্ট এবং কিছু জানার বা বলার থাকলে অবশ্যই মন্তব্য করবেন।
আল্লাহ আমাদের ইমানদার মুমিন বান্দা না বানিয়ে কবরে নিও না।
আমিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন